পদ্মার চরে মাসকলাই চাষে সাফল্য
-61d164607f32c.jpg)
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার চরে মাসকলাই চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে কৃষক । ফলন ভালো হওয়ায় কাটা-মাড়াই শেষে ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কম খরচ ও অল্প পরিশ্রমে ডাল জাতীয় এ অর্থকরি ফসল চাষ করে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরেছে দরিদ্র চরবাসীর।
জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ২৫৬ হেক্টর জমিতে মাসকলাই চাষ হয়েছে। এরমধ্যে পদ্মা নদী বিধৌত দৌলতপুরের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে চাষ হয়েছে ২ হাজার ৪২৩ হেক্টর জমিতে। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে মাত্র দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। ফলন হচ্ছে ২-৩ মণ হারে।
বিনা পরিশ্রমে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে খরচ বাদ দিয়ে ৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রয় করে চাষিদের লাভ হচ্ছে বিঘা প্রতি ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা। যা স্বল্পকালীন অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি।
দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মাসকলাই চাষি আব্দুল জাব্বার জানান, এ বছর তিনি পদ্মার চরে ৫ বিঘা জমিতে মাসকলাই চাষ করেছিলেন। খরচ হয়েছিল মাত্র ৭হাজার টাকার মত। ৫ বিঘা জমিতে ১৫ মণ কালাই পেয়েছেন। ৩ হাজার টাকা মণ হিসেবে বিক্রি করলেও তার ৪৫ হাজার টাকা আয় হবে। যা অল্প সময়ে বিনা পরিশ্রমে এবং কম খরচে অন্যান্য ফসরের চেয়ে লাভজনক।
এদিকে চাষিদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ দরে মাসকলাই কিনে অড়ত বা পাইকার ব্যবসায়ীদের কাছে ৩ হাজার ২০০ টাকা টাকা দরে বিক্রি করে চাষিদের পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছেন। তবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি কলাই এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। অর্থকরি এ ফসল চাষ বৃদ্ধিতে চরবাসীর জন্য প্রয়োজন কৃষি বিভাগের পরামর্শ, প্রণোদনা ও পৃষ্ঠপোষকতার।
তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আধুনিক ও উচ্চফলনশীল জাতের মাসকলাই বীজ সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দেয়ায় এবছর মাসকলাই চাষে ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম। অনাবাদী পদ্মার চরে অর্থকরি ফসল মাসকলাই চাষ বৃদ্ধি পেলে দেশের ডালের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।