চুল শুধু ঝরছেই, পরিচর্যায় যা করা জরুরি

কিছু দিন আগে পর্যন্ত চুলের যা ঘনত্ব ছিল, এখন তার অর্ধেকও নেই। এমন আক্ষেপ অনেকেরই।


গরম, বর্ষা বা শীত— যে মরসুমই হোক না কেন, চুল ঝরেই চলেছে। ঘরোয়া টোটকা থেকে নামীদামি প্রসাধনী কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না।


আসলে চুল ঝরে পড়া নিয়ে সকলে যত চিন্তা করেন, তার অন্তর্নিহিত কারণ নিয়ে ততটা নয়।


চিকিৎসকদের মতে, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ছাড়াও চুল পড়ার কিন্তু হাজারও কারণ থাকতে পারে।


তার মধ্যে বংশগত প্রবণতা অন্যতম। জিনের কারণে সাধারণত কৈশোরকাল থেকেই চুল পড়া শুরু হয়। তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু না হলে এই সমস্যায় লাগাম টানা প্রায় অসম্ভব।


হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থা এবং ঋতুবন্ধ, বিশেষত এই দু’টি সময়ে হরমোনে তারতম্য ঘটতে পারে। যার প্রভাব পড়ে চুলের ঘনত্বের উপর। এ ছাড়াও চুল পড়ার অন্য একটি কারণ হল স্ট্রেস। শুরুতেই যদি চুল পড়ার কারণ খুঁজে না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতিতে গলদ থাকাই স্বাভাবিক।


এ বার আসা যাক বাহ্যিক কারণগুলিতে।


** যাঁরা টেনে চুল বাঁধেন, তাঁদেরও অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায়।


** চুল বাঁধার কায়দা পাল্টে ফেললেও অনেক সময় চুল ঝরে পড়ার পরিমাণও কমতে থাকে।


** এর পর চুলে যথেচ্ছ রাসায়নিকের ব্যবহার করলেও চুল ঝরে পড়তে পারে।


চুলের পরিচর্যা করতে কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন?


** সপ্তাহে ২-৩ বার চুলে শ্যাম্পু করা। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা।


** ভিজে চুল শুকোতে পাতলা, সুতির কাপড় মাথায় বেঁধে রাখা। কারণ ভিজে চুল ঘষে ঘষে মুছলে চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ বাড়বে বই কমবে না।


** চুল শুকোতে ব্লোড্রাই বা চুলে কায়দা করতে এমন কোনও যন্ত্র ব্যবহার করবেন না, যা চুলের ক্ষতি করে।