রাবি উপাচার্যসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা

স্থানীয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে ও পুলিশ কর্তৃক শিক্ষার্থীদের গুলিবিদ্ধের ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ এবং শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নেয়ায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।


এক দফা এক দাবি, ভিসির পদত্যাগ, এক দুই তিন চার, প্রক্টর তুই গদি ছাড়, প্রশাসন হিজড়া এভাবে স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।এ সময় হ্যান্ড মাইকে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রক্টর থাকা সত্ত্বেও বিজিবি আমাদের উপর নির্মমভাবে গুলি চালিয়েছে। জখম করেছে আমার ভাইদেরকে। রামেক এখন আহত রাবি শিক্ষার্থীতে ভরপুর। আমার ভাইয়েরা মেডিকেলের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। আমাদের দাবি ছিল উপাচার্য বিনোদপুরে (ঘটনাস্থল) গিয়ে আমাদের দাবি দাওয়া মেনে নেবেন। কিন্তু ভিসি কোনো মতেই সেখানে যেতে রাজি না। এখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসিসহ প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। আমরা তাদের পদত্যাগ চাই।


অন্যদিকে প্রশংসায় ভাসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর। তিনি সারারাত জেগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি আহত শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন বলে জানা গেছে। এসময় কেউ কেউ ছাত্র উপদেষ্টাকে প্রক্টরের আসনে বসাতে আহ্বান জানান। তারা বলেন, ছাত্র উপদেষ্টা স্যারকে প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়া হোক। তিনিই আসল ছাত্রবান্ধব। সারা রাত জেগে আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিয়েছেন। তাদের পাশে ছিলেন প্রক্টর স্যার। বর্তমান প্রক্টর একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন ও মেরুদণ্ডহীন মানুষ। তাকে আমরা চাই না।


এর আগে, উপাচার্য আলোচনার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে সাবাশ বাংলাদেশ মাঠে আসার আহ্বান জানান। কিন্তু বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর গিয়ে সবার সাথে আলোচনায় বসতে বলে। এতে উপাচার্য সম্মত না হলে উপাচার্যকে ঘিরে রেখে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।