দেশে নতুন শনাক্ত রোগীর ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত

বাংলাদেশে বর্তমানে করোনা রোগীদের মধ্যে ২০ শতাংশই নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত। আর আক্রান্তদের ৮০ শতাংশের শরীরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এক মাসের নমুনা পরীক্ষা করে এ ফল পাওয়া গেছে।


মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)  জিনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ গবেষণার এ তথ্য জানান।


ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, ৮ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত সংগৃহীত স্যাম্পলের ২০ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ও ৮০ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়। পরবর্তী মাসে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট গুণিতক হারে বৃদ্ধির আশঙ্কা করা যাচ্ছে।


তিনি বলেন, বর্তমান গবেষণা গত বছরের ২৯ জুন থেকে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশের করোনা রোগীদের ওপর পরিচালিত হয়। দেশের সব বিভাগের রিপ্রেজেন্টটিভ নিয়ে স্যাম্পলিং করা হয়েছে। গবেষণায় ৯ মাসের শিশু থেকে ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা সব ধরনের রোগীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এতে মোট ৭৬৯ কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর ন্যাযোফ্যারিনজিয়াল সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়।


দেশে গত ২৯ জুন থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ৭৬৯টি জেনোম সিকোয়েন্সিং করে দেখা গেছে, মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশ ইন্ডিয়ান বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। ১ শতাংশ সাউথ আফ্রিকান বা বেটা ভ্যারিয়েন্ট, ১ শতাংশ রোগী মরিশাস ভ্যারিয়েন্ট অথবা নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। জুলাই ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২১-এর প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জেনোম সিকোয়েন্স এ প্রাপ্ত ডাটা অনুযায়ী ৯৯ দশমিক ৩১ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, একটি করে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন -আলফা বা ইউকে ভ্যারিয়েন্ট এবং বেটা বা সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট।